ইসলাম সবুজ :
এফবিসিসিআই ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলায় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি।
বাংলাদেশের এই শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা যা দেশের বেসরকারি খাতের স্বার্থ রক্ষায় পরামর্শমূলক ও উপদেষ্টা ভূমিকা পালন করে থাকে।
বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দুর্নীতি ও স্বৈরশাসকের ঘনিষ্ঠ অলিগার্ক ব্যবসায়ীদের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ধ্বংস হয়েছিল, এখন ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত। অধ্যাপক ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, লাখ লাখ তরুণ জনগোষ্ঠী এবং প্রযুক্তি-সচেতন দক্ষ কর্মী থাকায় বাংলাদেশ সহজেই বৃহৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলোর একটি হতে পারে।
এছাড়া গত (১০ সেপ্টেম্বর) ২০২৪ বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ সহযোগিতা চান তিনি।
শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তারই ধারাবাহিকতায় এফবিসিসিআইয়ের শীর্ষ এই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে অনুসন্ধান বেরিয়ে এসেছে দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিবাদ সরকার শেখ হাসিনার পতন হলেও শেখ হাসিনার ভাই শেখ সেলিমের ছেলে সাবেক শেখ ফাহিম এর দোসরা এখনো বল তবিয়তে।
ডানদিক হতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথিত বন্ধু প্রটোকল সিদ্দিক, শেখ ফজলে ফাহিমের লাঠিয়াল যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম নাদিম, পদ্মাসেতুর দুর্নীতির মূল কারিগর সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার ভাগিনা সাখাওয়াত, শেখ পরিবারের ক্যাশিয়ার গোপালগঞ্জের মামুনুর রহমান এবং নোয়াখালীর নূরুল হুদা স্বপন; অন্য দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ভুয়া এডভোকেট জামিলকে ইতিমধ্যে প্রশাসক বরখাস্ত করেছেন এবং শেখ ফজলে ফাহিমের কথিত আইটি বিশেষজ্ঞ শামীমুর রহমানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে গণহারে পদত্যাগে বাধ্য করা ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা ও চাকরির সুবিধা নিয়ে করা আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাণিজ্য সচিব ও নবনিযুক্ত প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। গত ৬ অক্টোবর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ পদে (জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতিসহ) চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেন। সেইসঙ্গে চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রাপ্য সুবিধা দাবি করেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এফবিসিসিআইয়ের চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবির বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন- ১ বিভাগ। গত ২৭ অক্টোবর এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক ও অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমানকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ ২০১৯-২১ মেয়াদকালে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শেখ ফজলে ফাহিম ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় ৬২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করেন। পরবর্তী সময়ে অনেককে চাকরিতে পুনর্বহাল করা করা হলেও ২৬ জনকে এখনো পুনর্বহাল করা হয়নি। রিটকারীদের অভিযোগ ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময়ে উল্লিখিত ২৬ জনকে কোনো প্রকার সার্ভিস বেনিফট ছাড়াই এফবিসিসিআইয়ের চাকরি থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। সম্পূর্ণ দলীয়করণের
অথচ চাকুরিচ্যূতরা ২৬ জন পাঁচ বছর যাবত অমানবিক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে এবং ইতিমধ্যে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য হওয়া চাকুরিহারা সার্ভিস বেনেফিট বঞ্চিত আফসারুল আরিফিনসহ চার কর্মকর্তা কর্মচারীর হার্ট অ্যাটাকে করুণ মৃত্যু !!! মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টাসহ ছাত্র উপদেষ্টাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি চাকুরিচ্যূত ২৬ কর্মকর্তা কর্মচারীর পক্ষে কর্মচারী কর্মকর্তাবৃন্দ।