নিজস্ব প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাঞ্ছারামপুর  থানার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পবিত্র চন্দ্র  মন্ডল এর বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমানাদিসহ লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে ।  সরকারি প্রকল্প থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, একাধিক ব্যাক্তি মালিকানা  জমি থেকে মাটি কেটে নিয়েছে নিজ প্রকল্পে । উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নভুক্ত গ্রামাঞ্চলের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, শ্মশানঘাট, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট স্থাপন, মেরামত ও সংস্কারের জন্য সরকারি ও বিভিন্ন সংস্থার বরাদ্দ অর্থের সিংহভাগ তছরুপ করেছেন  অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে এগিয়ে আছে এখন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ।
দেশের তৃণমূলে উন্নয়ন ও দরিদ্রদের সহায়ক হিসেবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার নানা শিরোনামে অর্থ বরাদ্দ হয় উপজেলা ও জাতীয় সংসদ সদস্যের অনুকূলে। উন্নয়নের জন্য ত্রাণ, দুর্যোগ ও পুনর্বাসন এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ অর্থ থোক, সাধারণ ও বিশেষ নামে পরিচিত। একইভাবে বরাদ্দ হয় প্রত্যেক সংসদ সদস্যের অনুকূলে। উপজেলার অনুকূলে বরাদ্দ অর্থ সমন্বয় কমিটির সভার মাধ্যমে বণ্টন হয় বিভিন্ন ইউনিয়নভুক্ত এলাকার প্রকল্পের নামে। যা বাস্তবায়নের দায়িত্বে জনপ্রতিনিধিরা থাকলেও দেখভালের দায়িত্ব থাকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার উপর। একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন বহাল থাকার সুবাদে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পবিত্র চন্দ্র মন্ডল, ইউনুস বি এস সি ও তার ছেলে নূর মোহাম্মদ বাঞ্ছারামপুরেরর সাবেক এমপি তাজের ভাগিনা জনি চেয়ারম্যানের সাথে মিলে নানা অপকর্ম ও দুর্নীতি মহোৎসব চালায় রুপসদী সুজন স্মৃতি কলেজে মসজিদের জায়গা ও অন্যের জায়গা জালিয়াতির মাধ্যমে দান করে তিনি প্রতিষ্ঠেতা তিনি কলেজের ফান্ডের টাকা দুর্নীতি করে আত্মসাৎ করে, তিনি অনৈতিকভাবে কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য করে।
এ ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের একটিও সত্য নয়, এখানে তাদের পারিবারিক সমস্যা বাদী আমাকে জড়িয়ে মামলা করেছে   আমাকে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা করে আমাকে কলঙ্কিত করার জন্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঞ্ছারামপুর  উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পবিত্র মন্ডল  ঘুষ নেওয়া থেকে উপজেলার উজানচর ও ছয়ফুল্লা কান্দি  ইউনিয়ন ছাড়া আর কোনো ইউনিয়নের প্রকল্প রক্ষা পায় নি। ছয়ফুল্লা কান্দি  ইউনিয়ন রক্ষা পাওয়ার কারণ হলো বাঞ্ছারামপুর  ইউনিয়নের বাসিন্দা স্থানীয় সংসদ সদস্য  ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম তাজ এর বাড়ি  তার ভাগিনা জনি ও ভাতিজা ইউপি চেয়ারম্যান তাই তাদের সাথে লিয়াজু করছে সব সময়।  এই নিয়ে মামলার বাদী সেলিনা আক্তার বলেন  ইউনুস বি এস সি, পবিত্র চন্দ্র  মন্ডল কে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজকোর্টে আমি মামলা দায়ের করেছি । তাছাড়া বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় তাদের বিরূদ্ধে মামলা করতে পারব না।  তাই জেলা জজকোর্টে করতে হয়েছে। তারা অসহায়  ব্যাক্তি মালিকানা জমি থেকে কলেজের মাঠে মাটি ভরাট করেছে যা সরকারি খাত থেকে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে মাটি অন্যত্র ক্রয় করার কথা থাকলেও নূর মোহাম্মদ   প্রভাব বিস্তার করে মালিকানাধীন জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে  মাটি কেটে নিয়েছে । এই নিয়ে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি এবং আসামি পক্ষকে জমির ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের  নেতা ও সাবেক এমপি তাজের সাথে সুসম্পর্কের কারণে আমাকে ক্ষতি পুরণ দেম দিচ্ছি করেছে কিন্তু দেয় নি।এরই মাঝে নানান অনিয়মের মাঝে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুকীর্তি ধরা পড়লে হালে তিনি নারায়ণগঞ্জ বদলি জনিত ভাবে  চলে যান। আমি  আমার জমির ক্ষতিপূরণ চাই এবং  আসামিদের কঠিন বিচার দাবি করছি।